কথায় আছে শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। প্রবাদটা ঠিক মিলে যাচ্ছে অজি ব্যাটার স্টিভেন স্মিথের ক্ষেত্রে। পুরো বছরটা ব্যাট হাতে ম্লান থাকলেও বছরের শেষে এসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন। চলতি অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯৩ রানের ইনিংস এসেছে তার ব্যাট থেকে।
২০২১ সালটা ব্যাট হাতে একেবারেই ভালো কাটেনি স্মিথের। সেঞ্চুরি করাটা যার কাছে ডাল ভাতের মতো, সেই স্মিথকেই ব্যাট হাতে ধুঁকতে দেখা গেছে। এই বছর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেননি সাবেক এই অধিনায়ক। তবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুই জায়গাতেই ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।
২০২১ এর শুরুতে ঘরের মাঠে একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন স্মিথ। ভারতের বিপক্ষে সিডনি টেস্টে ১৩১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এরপর দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলোতে ছিলেন না তিনি। তবে জায়গা পেয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
বিশ্বকাপেও নিজের জাত চেনাতে পারেননি স্মিথ। প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জিতলেও খুব সামান্য অবদানই ছিল স্মিথের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৪ বলে ৩৫, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ বলে ২৮*, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ বলে ১ আর বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাট করতেই হয়নি তাকে। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষেও ছিলেন রান খরায়। সেমিফাইনালে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৬ বলে ৫ রান। আর ফাইনালে ব্যাটই করতে হয়নি স্মিথের।
পুরো বছরটা বিবর্ণ কাটালেও বছরের শেষে এসে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও ৯৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাহলে কি শেষটা ভালো করে পরবর্তী বছরে ব্যাট হাতে ভালো করার ইঙ্গিত দিচ্ছেন স্মিথ!
ইতিমধ্যে অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট জিতে নিয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় টেস্টেও নিজেদের দাপট ধরে রেখেছে অজিরা। ওয়ার্নারের ৯৫, স্মিথের ৯৩, লাবুশেনের ১০৩ ও ক্যারির ৫১ রানে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৪০৬ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া।
